পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে স্থানান্তরের ফলে যেসব জায়গা উন্মুক্ত হচ্ছে, সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে। রোহিঙ্গা বসতিসহ কক্সবাজার জেলার অন্যান্য স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃক্ষরোপণের জন্য বন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত মাসিক সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিচ্ছিন্নভাবে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদেরই শুধু স্থানান্তর করা হচ্ছে। ফলে দৃশ্যমান স্থান এখনো খালি হয়নি। আরো বেশি রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হওয়ার পর জায়গা উন্মুক্ত হলে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে।

মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সরকার জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় ৫০০ হেক্টর জমিতে বনায়ন করা হবে। এ ছাড়া দেশীয় প্রজাতির দীর্ঘমেয়াদি বাগান সৃজন কর্মসূচির আওতায় ৪০০ হেক্টর, ঝাউ বাগান ২০০ হেক্টর, নারিকেল চারা ১২ হাজারটি, শোভাবর্ধনকারী চারা পাঁচ হাজারটি, স্ট্রিপ বনায়ন পাঁচ কিলোমিটার, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ইকো-ট্যুরিজম সুবিধার উন্নয়ন করা হবে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।