রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডার সহযোগিতা চান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক আশ্রয়গ্রহণ করেছে। এদের উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতার জন্য কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কানাডার উইমেন, পিস ও সিকিউরিটি অ্যাম্বাসেডর জ্যাকুলিন ও’নিল সাক্ষাৎ করতে এলে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় তারা মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নারী এবং শিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘যুদ্ধ ও সংঘাতময় সময়ে নারীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০০০ সালের রেজুলেশন ১৩২৫ প্রণয়নে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। যার উদ্দেশ্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সকল নীতিমালা তৈরি, বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্তকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সমঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এরই আলোকে বাংলাদেশ নারীর শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৯-২০২২ প্রনয়ণ করেছে, যা ১১টি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে।’
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের নারীদের অসামান্য অবদান ও বীরত্বগাঁথা তুলে ধরে বলেন, ‘বীর নারী মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁরা তাঁদের স্বামী ও সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, আশ্রয় ও তথ্য পাঠিয়ে সাহায্য করেছেন এবং লাখ লাখ নারী আত্মত্যাগ করেছেন। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।’
কানাডার উইমেন, পিস ও সিকিউরিটি অ্যাম্বাসেডর জ্যাকুলিন ও’নিল বলেন, ‘বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
জ্যাকুলিন ও’নিল আগামীতে উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং সুরক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অ্যাম্বাসেডরের অ্যাডভাইজর কেট ফিয়ানডার ও কানাডা হাইকমিশনের কাউন্সেলর ব্রাডলি কোটস উপস্থিত ছিলেন।