লকডাউন : সাতদিনের মাথায় সড়ক ভরে মানুষ, গাড়ি
সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিন আজ। বৃষ্টির এ দিনেও ঘরে বসে থাকেনি মানুষ। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে বের হয়েছেন বাইরে। ফলে রাজপথে কোথাও কোথাও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি চৌকি আছে। তবে বৃষ্টির কারণে পুলিশের কম উপস্থিতি দেখা গেছে চৌকিতে।
সকাল থেকে বৃষ্টির পরও সড়কে আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে লোকসংখ্যা বেশি ছিল। চৌকিগুলোতে তল্লাশির হারও কম দেখা গেছে। তবে সন্দেহ হলেই পুলিশ মানুষের পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহণ চলতে না দেখা গেলেও অন্যান্য সব ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রচুর রিকশার চলাচল ছিল। সঙ্গে বিধিনিষেধের অন্যান্য সব দিন থেকে আজ সড়কে মানুষজন বেশি ছিল। তবে সড়কে থাকা সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রিকশাচালকেরা ইচ্ছেমতো ভাড়া চাচ্ছেন।
কারওয়ান বাজার থেকে মহাখালী যাবেন ইব্রাহিম মোল্লা। কিন্তু রিকশা ভাড়া চাচ্ছেন ১২০ টাকা। ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রয়োজনে বাইরে হই। কিন্তু বের হলেই যেভাবে রিকশা ভাড়া দিতে হয়, তাতে পেরে ওঠা মুশকিল হয়ে যায়।’
কবির আলী নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘আজ সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এক হাজার টাকা কামাইছি। আরও কিছু কামাইব। আর সবাই যেভাবে ভাড়া নিচ্ছেন, আমিও সেভাবে নিচ্ছি। লকডাউনে এমনিতেই একটু ভাড়া বেশি।’
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধিনিষেধ প্রতিপ্রালনে রাস্তার মোড়ে অভিযান চালাচ্ছি। কাউকে সন্দেহ হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আর প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন, যাচাই-বাছাইয়ের পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর অযোক্তিক মনে হলে মামলা দিয়ে জরিমানাও করা হচ্ছে।’
শাহবাগ মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আবিদ হাসান বলেন, ‘মানুষ বেড়েছে রাস্তায়। আমরাও চেকপোস্টে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন মনে করলেই আমরা তা করছি। অপ্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে আমরা জরিমানাও করছি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।’