লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধানের শীষ-লাঙলের প্রার্থীর ভোট বর্জন
লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভায় উন্মুক্তভাবে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা, এজেন্টদের মারধর ও কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ এনে ধানের শীষের প্রার্থী সাহেদ আলী পটু ও লাঙলের প্রার্থী আলমগীর হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মারধর করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দিতে আ.লীগের নেতারা ভোটারদের বাধ্য করছে। এ নির্বাচনে থাকার প্রয়োজন নেই। আমি ভোট বর্জন করেছি।’
বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী বলেন, ‘ইভিএম আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে। তাঁরা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এসব না দেখার ভান করছেন। আমি এ জন্য ভোট বর্জন করেছি।’
রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী বলেন, ‘ভোট বর্জনের বিষয়টি আমি জানি না। কালো পর্দার বাইরে ইভিএম থাকার কথা নয়। কোথাও ছিল কি না, তা কেউ আমাকে জানায়নি। যিনি নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রামগতি পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজু, ধানের শীষের সাহেদ আলী রামগতি পৌর বিএনপির সভাপতি, লাঙলের আলমগীর হোসেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, স্বতন্ত্র নারিকেল গাছের প্রার্থী আবি আব্দুল্লাহসহ ছয়জন লড়ছিলেন।