লক্ষ্মীপুরে জাপার মনোনয়ন দ্বন্দ্বে মারামারি
লক্ষ্মীপুরে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ ফায়িজ উদ্দিন শিপনসহ দুপক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুরে শহরের ওয়েলকাম চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দলের দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল পর্যন্ত সেখানে উত্তেজনা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
শিপন ছাড়াও আহতরা হলেন আকবর হোসেন, মো. সুমন, জাবেদ হোসেন, আবদুল মিয়া, শরিফ উদ্দিনসহ ১৫ জন। তারা রায়পুরসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মী। এর মধ্যে কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার শিকার শেখ ফায়িজ উদ্দিন শিপনের ভাষ্যমতে, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম আর মাসুদ, আনোয়ার হোসেন বাহার ও আরিফরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর নেতাকর্মীদের মারধর করেছে। মাইকে উস্কানি দিয়ে হামলাকারীরা তাঁর লোকজনকে মারধর করেছে। এ সময় রেস্টুরেন্টের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, ১১ মার্চ লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচন। কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছিলেন। আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল দেওয়ায় সেখানে জাপা থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন মাসুদ ও শিপন। তারা আলাদা তদবিরও চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়ন দ্বন্দ্বের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠুও মনোনয়নপ্রত্যাশী।
জেলা জাতীয় পার্টির পূর্ব নির্ধারিত সাংগঠনিক সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাপা নেতা আলমগীর শিকদার, সাংসদ নাজমা রহমান, ইলিয়াছ আহমদ ও জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার পর কয়েকজন নেতাকে ঘটনাস্থলে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা মুক্ত হন।
ক্ষতিগ্রস্ত রেস্টুরেন্টের মালিক মো. ইউসুফ জানিয়েছেন, জাপা নেতা মাসুদ সভা করার জন্য তাঁর প্রতিষ্ঠান বুকিং নিয়েছিলেন। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ঘটনার সময় ভেতরে ও বাহিরে ভাঙচুর করেছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জরিমানার জন্য একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এম আর মাসুদ সংঘর্ষের জন্য শিপন ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।