লক্ষ্মীপুরে ‘ধর্ষণ’ থেকে কিশোরীকে বাঁচাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন নৈশপ্রহরী
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় বাসের মধ্যে এক কিশোরীকে ধর্ষণের হাত থাকে বাঁচাতে গিয়ে গতকাল শুক্রবার মো. শাহজাহান (৪৫) নামের এক নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। যদিও স্থানীয় লোকজনদের ধারণা, বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শাহজাহান মিয়া রামগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম কাজিরখীল এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় কিশোরীর মামলায় বাসের হেলপার আজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী নোয়াখালীর চাটখিল থেকে সোনাপুর যাওয়ার উদ্দেশে ভুলবশত জননী পরিবহণের একটি বাসে উঠে পড়ে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ওই কিশোরীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় চট্টগ্রামগামী নীলাচল নামের একটি বাসে ওই কিশোরীকে বসতে বলা হয়। পরে জননী পরিবহণের ওই বাসের হেলপার আজাদ ও স্থানীয় যুবক এমরান হোসেনসহ তিন জন সংঘবদ্ধ হয়ে বাসে থাকা ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
ওই সময় কিশোরীর চিৎকার শুনে বাসস্ট্যান্ডের নৈশপ্রহরী শাহজাহান এগিয়ে যান। তখন ধর্ষণচেষ্টায় বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই শাহজাহান মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শাহজাহানের মৃত্যু হয়েছে। পরে আশপাশের লোকজনকে এগিয়ে আসতে দেখে আজাদ ও এমরানসহ তিন জন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এর মধ্যে স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং আজাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে আজাদকে আটক করে। এ ছাড়া শাহজাহানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আটক আজাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’