লাশ ছাড়া কবর বলে চালিয়ে দেওয়া প্রতারণা ও অনৈসলামিক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কারও লাশ না থাকা সত্ত্বেও সে স্থানকে তার কবর বলে চালিয়ে দেওয়া যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা এবং একই সঙ্গে অত্যন্ত অনৈসলামিক কাজ, যেটি বিএনপি করছে।’
আজ রোববার সকালে সরকারি সফরে ভারতের নয়াদিল্লীর পথে রওনা হওয়ার আগে ঢাকায় মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবর নিয়ে জাতীয় সংসদেও (গতকাল) শনিবার আলোচনা হয়েছে। কারও কবর না থাকলেও তার কবর বলে চালিয়ে দেওয়া জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও অনৈসলামিক, যা বিএনপি করছে। জিয়াউর রহমানের লাশ কেউ দেখেনি এবং তখনকার পত্রিকার কাটিং আমার মোবাইল ফোনেই আছে এবং পত্রিকায় লিখেছে কেউ জিয়াউর রহমানের লাশ দেখেনি। তারেক রহমান লাশ দেখার জন্য খুব মিনতি করেছিল, তাকে দেখানো হয়নি, খালেদা জিয়াও দেখেননি, কেউ দেখেনি। রাঙ্গুনিয়ায় যে প্রথম কবর দেওয়া হয়েছিল বলা হচ্ছে, সে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সাক্ষী তখনকার চেয়ারম্যান জহির এখনও বেঁচে আছেন। তিনি বলেছেন, লাশ তোলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা জিয়ার লাশ দেখিনি।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণই এর বিচার করবে, দ্বিতীয়ত, তারা যেহেতু দাবি করছে, তারা প্রমাণ করুক। সে পথে তারা হাঁটে না, বরং আগে বিশেষ বিশেষ দিনে তারা সেখানে যেত, এখন প্রতি সপ্তাহে কারণে-অকারণে যায় এবং মাঝে মধ্যে মারামারি করে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির ঐক্য তো সব সময় জঙ্গি-জামাত-মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে, যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। তাদের এই ঐক্য সবসময়ই ছিল, এখনও আছে। এতে কোনো রাখঢাক নেই। ডা. জাফরুল্লাহ সাহেব তালেবানের কাবুল দখলের পর যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিই হচ্ছে বিএনপির অন্তর্নিহিত বক্তব্য।’
বিদেশি টিভির ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্কের অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর, কেব্ল অপারেটর, ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলাম এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে ১ অক্টোবর থেকে কেউ যদি ক্লিন ফিড না চালায় এবং কেব্ল অপারেটিং লাইসেন্স অনুযায়ী নিয়ম-কানুন না মানে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করব বলে জানিয়েছিলাম। যে সব প্রতিষ্ঠান ডাউনলিঙ্কের অনুমোদন পেয়েছে এবং ক্লিন ফিড চালাচ্ছে না, দেশের আইন মানা তাদের দায়। সুতরাং তারা যদি আইন না মানে, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশি শিল্প এবং শিল্পীদের সুরক্ষার জন্য বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পীপ্রতি দুই লাখ টাকা এবং কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যদি সেই বিজ্ঞাপন প্রচার করে, সে ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার পরিপত্র জারি হয়েছে এবং আমরা সেটি প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।’
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী সফরকালে সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ। আগামী বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।