শনিবারের পর আঘাত হানতে পারে মোখা : আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসা
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী শনিবারের (১৩ মে) পর আঘাত হানতে পারে। তবে, ১৪ মে সন্ধ্যায় আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসা আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৬টা এনটিভি অনলাইনকে এতথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আঘাতের শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী ১৩ মের পর যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে। তবে, ১৪ মে সন্ধ্যায় আঘাত হানার শঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাত হবে। চট্টগ্রাম বিভাগে এর প্রভাব বেশি পড়বে। তবে, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, রাঙ্গামাটিসহ চট্টগ্রাম বিভাগে এর প্রভাব থাকবে।’
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা ১২টায় এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল মোখা। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এজন্য এসব সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে আবহাওয়াবিদ মো. মোনোয়ার হোসেন সকালে সামুদ্রিক সতর্কবাতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সামুদ্রিক সতর্কবাতায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সর্বশেষ খবরে সংস্থাটি বলছে, এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সবোর্চ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গেপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।