শরীয়তপুরের জাজিরায় চালু হচ্ছে আরও একটি ফেরিঘাট
শিমুলিয়া-মাঝিঘাট নৌরুটে ঈদে বাড়িফেরা যাত্রীদের ঝক্কি-ঝামেলা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। মঙ্গল মাঝি ফেরিঘাটে আজ সোমবার সকালে এ কথা বলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ঈদের আগেই নতুন ঘাট পাবে এ পথের যাত্রীরা। আগামী ২৮ এপ্রিল নতুন ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হবে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ঘাট নির্মাণ ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে মঙ্গল মাঝি লঞ্চঘাটটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে ঘাট নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন গোলাম সাদেক।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন ঘাট নির্মাণের জন্য মাঝিঘাটের লঞ্চঘাটটি বর্তমান অবস্থান থেকে ২০০ মিটার পূর্ব দিকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের হাতে সময় খুবই কম। আগামী ২৮ তারিখ থেকে নতুন ঘাট প্রস্তুত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় লঞ্চ বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা যাতে ফেরিতে পদ্মা পারাপার হতে পারে, তাই ফেরিঘাটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
গোলাম সাদেক বলেন, ঈদের সময় একযোগে শিমুলিয়া-মাঝিঘাট এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার দুই নৌরুটে দিনরাত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বাংলাবাজার ঘাটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে মাঝিঘাট ফেরি ঘাটটি ব্যবহার করতে ঘাটটির আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর সঙ্গে একাধিকবার ফেরি ধাক্কা লাগার পর গত ডিসেম্বরে মাঝিঘাট-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই ঘাট দিয়ে তিনটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে এই ঘাট দিয়ে দৈনিক ৪৮০ থেকে ৫৫০টি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।