শরীয়তপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বশির ব্যাপারী (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় মামলা করেছেন। আজ সোমবার দুপুরে মামলা টি করেন ভোক্তভোগী ছাত্রীর মা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ।
অভিযুক্ত বশির ব্যাপারীর বাড়ি একই উপজেলায়।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে হঠাৎ ঝড় হয়। ঝড়ের পরে আম কুড়ানোর জন্য মেয়েটির মা ও বোন বাড়ির পাশে বাগানে যায়। সেদিন অসুস্থ অবস্থায় ঘরে শুয়ে ছিলেন মেয়েটি। হঠাৎ ঘরে ডুকে বশির দরজা আটকিয়ে দেন। এরপর মেয়েটি উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এ সময় কলেজছাত্রী চিৎকার দিলে তার গালে ও শরীরে মারধর করেন। একপর্যায়ে বসির ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় পাশের ঘরের আলেয়া বানু তাকে দেখতে পেলে তিনি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ভোক্তোগীর পরিবার বেশ কয়েকবার থানায় যেতে চেয়েছিল কিন্তু স্থানীয়দের চাপে যেতে পারেনি। তারা টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলে। এ বিষয়ে মেয়ের বাবাকেও কয়েক বার হুমকি দেওয়া হয়।
ভোক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, সেদিন আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে ঘরে শুয়ে ছিল। আমি আম কুড়ানোর জন্য পাশে বাগানে যাই। পরে আমার মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে আসি। আমার মেয়ে ও পাশের ঘরের জার কাছ থেকে ঘটনা শুনি। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় কয়েকজন টাকা নিয়ে আসে। টাকা নিয়ে সব কিছু মীমাংসা করে ফেলার জন্য বলে। তারা আমার মেয়ের ইজ্জত টাকা দিয়ে কিনতে চায়। গতকাল রাতে চেয়ারম্যান আমার স্বামীকে ডেকে মেয়ে কে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। আমি এখন নিরুপায় হয়ে থানায় এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, সেদিন এলাকায় আমি ছিলাম না। আমি জানি না বা আমার কাছে কেউ আসেনি।
আপনি মেয়ে পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান বলেন, আমার কাছে এসেছিল। তখন আমি থানায় যেতে বলি।
ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।