শাটডাউনের আশঙ্কায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিতে যাত্রীদের ভিড়
লকডাউন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী পারাপার থামছেই না। এবার শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় আরও বেড়েছে যাত্রী পারাপার। আজ শুক্রবার সকাল থেকে নৌরুটের ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহনের সঙ্গে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী প্রচুর যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী শুধু রোগী বহনকারী এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি ছাড়া সবকিছু, এমনকি মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চলমান এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যাত্রীরা ঘাটে ভিড় জমাচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিসির সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন জানান, যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক বড় গাড়ি রয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত দুই শতাধিক গাড়ি পার করা হয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট আজও রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব যাত্রীদের ঘাটে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। লকডাউনের নির্দেশনা মানার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছে। মূলত, গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে বলা সম্ভাব্য শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় যাত্রীদের আগমন বেড়েছ। বাংলাবাজার ঘাট থেকেও ফেরিতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন অনেকে।
মুন্সীগঞ্জ সদরের ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে আরও কয়েকটি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। সিএনজি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শহরের মধ্যে চলাচলে চেকপোস্টের মাধ্যমে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিছু অটোরিকশা আটক করা হয়েছে। উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকার আশপাশের সাত জেলা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন চলছে। এসব জেলায় ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এ সময়ে সব ধরনের গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে এবং পণ্যবাহী ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে জানানো হয়।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী আরও কঠোর কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। যেকোনো সময় এ ধরনের ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।