শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভর নয়, প্রায়োগিক দিকে আগ্রহী করতে হবে
শিক্ষার্থীদের বাস্তব ও প্রায়োগিক দিকে আগ্রহী করে তোলার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করার সুযোগ দিতে হবে। তারা যেন অনুসন্ধিৎসু হয়ে ওঠে। তাদের মুখস্থনির্ভর না হয়ে বাস্তব ও প্রায়োগিক দিকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শুধু পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার জন্য না বরং যা শিখবো, তার প্রয়োগও শিখতে হবে। তাহলে শিক্ষা পরিপূর্ণ হবে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন। ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারগণের প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
ডা. দীপু মনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের জন্য শিক্ষাই মূল হাতিয়ার। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যে চ্যালঞ্জগুলো আছে সেগুলো মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী দু-দিক থেকেই আমাদের ঘাটতি রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০১৮ এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে সামনে রেখে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রূপরেখার আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রমে যেসব পরিবর্তন ও পরিমার্জন আনা হয়েছে সেগুলোর উপযোগিতা যাচাই এবং তা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য প্রয়োজন একটি পরিকল্পিত ট্রাই-আউট কার্যক্রম। ১০০টি প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তাদের প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সামগ্রীগুলো পরিমার্জন করা হবে এবং পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সারা দেশে সব প্রতিষ্ঠানে প্রবর্তন করা হবে।