শিক্ষিকার বিয়ের খবরে বরের হাত-পা ভেঙে দিতে চাইলেন প্রধান শিক্ষক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার খবরে প্রথমে ক্ষিপ্ত হন, পরে হবু বরের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা আইচার হাওলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সহকারী শিক্ষিকার অভিযোগে জানা যায়, লকডাউন চলাকালীন তাঁকে অপ্রয়োজনে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ডেকে এনে বসিয়ে রাখতেন প্রধান শিক্ষক। অফিস কক্ষের এয়ারকন্ডিশন চালু করার অজুহাতে দরজা-জানালা বন্ধ করে অশালীন আচরণ ও কুপ্রস্তাব দিতেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর কবির বলেন, রোববার ওই সহকারী শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দেবে, সেই অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লিখিত অভিযোগে সহকারী শিক্ষিকা উল্লেখ আরও করেন, তিনি স্কুলে যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহিদুর রহমান সিকদার অশ্লীল আচরণ করে আসছিলেন। জাহিদুর রহমান সিকদার ওই নারী শিক্ষিকাকে দিনরাত অযথা ফোনে, মেসেঞ্জার ও হোয়াসঅ্যাপে বিরক্ত ও অসামাজিক ভিডিও পাঠাতেন।
প্রধান শিক্ষক যখন জানতে পারেন সহকারী শিক্ষিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে, তখন তাঁকে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন। হবু বরের পরিবারের কাছে ওই শিক্ষিকা সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে বিয়ে ভাঙার চেষ্টা চালান। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় শিক্ষিকাকে ডেকে এনে হবু বরের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।
বর্তমানে জাহিদুর রহমান সিকদার তার লোকজন দিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালাতে পারেন। এই অবস্থায় নিরাপত্তার এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান সিকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।