শিগগিরই নতুন আন্দোলনের ডাক : শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘শিগগিরই নতুন আন্দোলনের ডাক আসবে। এই আন্দোলনকে আমরা আগামী জুন মাসের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব।’
আজ শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁয় এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শামসুজ্জামান দুদু এ কথা বলেন।
গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতন বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ সরকার পতনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। তার পরই দেশে নির্বাচন হবে। দেশে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে। বিএনপি সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাবে এবং জয় লাভ করবে।’
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা নতুন করে আন্দোলন শুরু করছেন। এর আগে পরীক্ষা হিসেবে বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাসহ সব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে। এবারে কিন্তু নতুন পর্যায়ের আন্দোলন হবে। এটা হচ্ছে শেষ আন্দোলন। মিগগিরই নতুন আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। এই আন্দোলনকে আমরা আগামী জুন মাসের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।’
‘আমরা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে। কিন্তু তারা সেটা করেনি’ মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের আইন ভাঙতে বাধ্য করবেন না। প্রয়োজন হলে জেল ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসা হবে। এখনও সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। সম্মান থাকতে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। এরপর যদি যান বেইজ্জতি হবেন। তখন বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের মাফ করবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতা নেই। এখন প্রশাসনই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ ও প্রশাসন সহায়তা না করলে আপনারা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নেবেন। পুলিশ যদি একটুখানি বিশ্রামে যায় আর প্রশাসনের লোকজন যদি আওয়ামী লীগরে চিনতে না পারে তাহলে তাদের বিদায় নিতে বেশি সময় লাগবে না।’
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম রানা প্রমুখ।