শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ
আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হতে যাচ্ছে। এই বিধিনিষেধকে কেন্দ্র করে ঈদুল আজহার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আবার ঈদের আগে বাড়ি যেতে না পারা মানুষেরাও ফিরছেন নিজ নিজ এলাকায়। এতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। তবে বাড়ি ফেরা মানুষের চেয়ে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে পরাপারের অপেক্ষায় এখনও ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, ঘাটে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক গাড়ি পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে, লঞ্চে ভোগান্তি ও চাপ কিছুটা কম। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া মাজিরকান্দি নৌরুটে ৮৪টি লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার করছে।
বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকার মিরপুরে যাব। ঈদ করতে খুলনা গিয়েছিলাম। লকডাউনের কারণে আমাকে ঢাকায় ঢুকতে হবে। ব্যাংক খোলা। এজন্য আজই ঢাকায় যাব।’
আকরাম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘মাদারিপুরে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম কোরবানি দিতে। এখন ঢাকার উত্তরায় যাচ্ছি।’
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেলিনা আফরোজ। তিনি বলেন, ‘সপরিবারে ঈদ করতে বাগেরহাটে গিয়েছিলাম। সচরাচর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। কোরবানি উপলক্ষে প্রতি বছর যাই। লকডাউন হবে বলে তড়িঘড়ি করে আমরা ঢাকার ঝিগাতলায় ফিরছি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে চার শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রী ও মোটরসাইকেলের চাপ রয়েছে ফেরিগুলোতে।
ফয়সাল আহমেদ আরও জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি চলাচলে বেশি সময় আর ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।