‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জামিন চেয়ে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।
গত ১০ জানুয়ারি গাজীপুরের গাছা ও রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল করেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এর আগেও মামলাগুলোতে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন রফিকুল ইসলামের আইনজীবী। আপিল আবেদনে আবারও রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন প্রার্থনা করা হয়।
‘রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’র অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলাসহ কয়েকটি মামলা হয়।
গত ১১ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন।