শিশুশ্রম নিরসনে সফল হবে সরকার : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, “জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সব খাতের শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অবশ্যই সফল হবে। এজন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”
রাজধানীর হোটেল রেডিসনে মঙ্গলবার (১৬ মে) ইউনিসেফের সহযোগিতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শিশুশ্রম নিরসনে প্রণীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনে সফল হতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাগুলোকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
প্রতিমন্ত্রী চলমান ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, “সব খাতের শিশুশ্রম নিরসনে আগামীতে এ প্রকল্পের আওতা বাড়ানো হবে। ২০৩০ সালের আগেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য শিশুশ্রমমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ দিয়ে যেতে চাই।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী। সভাপতির বক্তব্যে শ্রম সচিব বলেন, “শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতীয় কমিটি, বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কমিটি কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কমিটি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দপ্তর-সংস্থার মধ্যে জোরালো মনিটরিং দরকার। এখন সবাই মিলে শিশুশ্রম নিরসন কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।”
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম বক্তব্য দেন। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপপ্রতিনিধি নাটালি ন্যাককলি। এ সময় শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।