শীতে কাঁপছে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
মধ্য দুপুরেও কুয়াশায় ঢাকা ছিল যশোর-চুয়াডাঙ্গা। দেখা মিলেনি সূর্যের। শীতের ভারি পোশাকও হার মানছে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রমজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। কাজে যেতে পারছেন না, আবার কাজও পাচ্ছেন না বলে দাবি অনেকের। এদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। অন্যদিকে, দেশজুড়েই বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে, বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দুই দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা ছিল আট দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা আরও কমে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একই তাপমাত্রা যশোরজুড়ে।
যশোর থেকে এনটিভি অনলাইনের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সজল জানান, সেখানে সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। দিনেও সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহন। শীত-কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
এদিকে, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রায় ৫০ হাজার কম্বল উপজেলা প্রশাসনগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করছে যশোর জেলা প্রশাসন। তবে, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিবছর নিম্নবিত্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলেও এবার সেরকম উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, সেখানে কয়েকদিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর আজ থেকে শুরু হয়েছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেনের বরাতে রফিকুল জানান, কয়েকদিন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে সেখানে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এই অবস্থা আরও দু’একদিন থাকতে পারে।
এদিকে, কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জীবন-জীবিকার জন্য শীত উপেক্ষা করে বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের।