শুটকির মৌসুম শেষ, দুবলার চর থেকে ফিরছেন জেলে-মহাজনেরা
বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরের শুটকির মৌসুম শেষে হয়েছে। তাই বনবিভাগের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে জেলেদের দুবলার চর ছাড়তে হবে। তাই টানা ৫ মাসের শুটকি মৌসুম পার করে এখন বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তারা। জেলেরা যে যার মতো করেই ফিরছেন লোকালয়ে। তাঁদের লোকালয়ে ফেরা ও নিরাপত্তায় সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে চেক পোস্ট বসিয়েছে কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ ও বনবিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এ মৌসুমে দুবলার চরের শুটকির কারবার থেকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা থাকলেও তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এবার আয় হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ টাকা।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, সদ্য শেষ হওয়া এ মৌসুমে বড় ধরনের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস না থাকায় ও দস্যুমুক্ত সুন্দরবন থাকায় বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন জেলেরা।
অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর পাড়ের দুবলা, আলোরকোল, মেহেরআলী চরসহ আশপাশের ৮-১০টি চরে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে সমবেত হয়ে অস্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। এ সময় জুড়ে গভীর সাগর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ ও বাছাই করে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ করে থাকেন দুবলার চরের জেলেরা। আর এ খাত থেকে প্রতি বছর গড়ে বনবিভাগ ৩ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকেন।