শেখ ফজলুল হক মনির লেখা যুবসমাজের পাথেয় : মেয়র তাপস
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির লেখনি যুবসমাজের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কররেরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এই মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কখনোই সত্য প্রকাশে দ্বিধা করেননি। লেখনির মাধ্যমে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মুজিববাদের কার্যক্রম তিনি তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া মুজিববাদের নীতি-আদর্শ কী হবে এবং মুজিববাদ বিস্তারে সংগঠনের নেতাকর্মীদের কী করতে হবে এ ব্যাপারে তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন, দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতি গঠনে যুবসমাজকে কিভাবে নিয়োজিত করা যায়, সে বিষয়ে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি যেসব নির্দেশনা রেখে গেছেন তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে পাথেয় হয়ে থাকবে।’
শেখ ফজলুল হক মনি ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতার নির্দেশনা ও নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে উল্লেখ করেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস। তিনি বলেন, তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ছাত্রলীগের যে নিউক্লিয়াস গঠন করা হয়েছিল, যাদেরকে দিয়ে ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেই নিউক্লিয়াসের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। তিনি ছয় দফা আন্দোলন, মুক্তি সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। জাতির পিতার নির্দেশে মুজিব বাহিনী গঠন করেছেন এবং রণাঙ্গনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী জাতি গঠনে ফজলুল হক মনি তিনটি পত্রিকা প্রকাশ করেন উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সিনেমা চালু করেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন মেধাভিত্তিক জাতি গঠনে লেখনি অন্যতম ভূমিকা পালন করে এবং সেজন্য তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া জাতি গঠনে যুবসমাজকে সুসংগঠিত করতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
মেয়র তাপস বলেন, শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি মাত্র ৩৫ বছরের জীবনকালে প্রায় নয় বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। দেশবাসী ও দলকে সংগঠিত করতে হুলিয়া নিয়েও তিনি বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার সঙ্গে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। আজকের দিনে তাঁর প্রতি আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বাবা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮৩তম জন্মদিন উদযাপনে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৩টায় নগর ভবন প্রাঙ্গণে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।