‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে’
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “স্বাধীনতাবিরোধী ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। সেই শক্তিই ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। তারাই ধরিত্রীর নেত্রী, মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায়। কিন্তু এ দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এদেরকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে। এদেশে ’৭৫ আর ফিরে আসবে না।”
ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে রোববার পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি ‘এক পৃথিবী : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত এবং বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জলবায়ু মোকাবেলায় সঠিক পথে রয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সঠিক পথে রয়েছে।’
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন হোক বা না হোক, কৃষিতে আমাদের চ্যালেঞ্জ একটিই, সেটি হলো খাদ্য নিরাপত্তা। সেজন্য, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ও প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল বা প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী ধানসহ বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে লবণ, জলমগ্নতা, খরাসহনশীল অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন হয়েছে এবং তা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার বক্তব্য দেন। বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান আফতাব আলী শেখ প্রমুখ বক্তব্য দেন।