শেখ হাসিনার আমলে সংবাদমাধ্যমকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সংবাদমাধ্যমকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিবিদ, প্রশাসন এবং সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।’ নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন মন্ত্রী।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সংবাদমাধ্যমগুলোকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর আগে সেটা ছিল না। সাংবাদিকেরা যদি স্বাধীনভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেন, তাহলে সমাজের লোকেরা যারা অন্যায় করে, আমি মনে করি তারা অন্যায় থেকে দূরে থাকবে। তাদের দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার প্রয়াস পাবে।’
সাংবাদিকদের ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যের দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে ভ্রাতৃত্বের মনোভাব নিয়ে বুকে টেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘গুটিকয়েক মিডিয়া ছাড়া উন্নয়নের কোনো সংবাদ তুলে ধরা হয় না। মনে হয় যেন রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও সরকারে যারা থাকে, তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বী না। সর্বদা সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত আছি। তবে সেটা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলে রাব্বী, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য শাহিন মনোয়ারা হক, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন জুয়েল, সাবেক সভাপতি নবির উদ্দিব প্রমুখ।