শেখ হাসিনা গণভবনে, অন্য নেতারা যেখানে ঈদ করবেন
এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার অথবা পরদিন মঙ্গলবার উদ্যাপন করা হবে ঈদ। পরিবার ও নিজ এলাকায় ঈদ উদ্যাপন করতে গত কয়েক দিনে নাড়ীর টানে নিজ নিজ এলাকায় গেছেন লাখো মানুষ।
তবে, কোভিড মহামারির দুই বছর পর অনেক রাজনীতিবিদও এবার ঈদ করবেন নিজের নির্বাচনি এলাকায়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যথারীতি গণভবনে ঈদ উদ্যাপন করবেন। এ তালিকায় রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঈদের পরে নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ যাবেন ওবায়দুল কাদের। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত দুই বছরে নোয়াখালী যাননি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় ঈদ করার তালিকায় আরও রয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এ ছাড়া রমজানের শেষের দিকে নিজেদের নির্বাচনি এলাকা ঘুরে এসে ঢাকায় ঈদ করবেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান। ঈদের দিন তাঁরা ঢাকায় থাকবেন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানও ঢাকায়ই ঈদ করবেন।
এদিকে, নিজের নির্বাচনি এলাকা ভোলা থেকে ঈদের আগে ঘুরে এলেও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ ঈদ করবেন ঢাকায়। ফরিদপুরের মধুখালীতে ঈদ করবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, কুষ্টিয়ায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, চট্টগ্রামে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সাংগঠনিক সম্পাদক মধ্যে মির্জা আজম নিজ জেলা জামালপুরে, আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এবং আফজাল হোসেন পটুয়াখালীতে নিজ এলাকায় ঈদ উদ্যাপন করবেন। সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ঈদ করবেন নিজ নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়।
সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যুবলীগের সভাপতি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ করোনায় আক্রান্ত আর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকায়ই ঈদ করবেন। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় নিজ এলাকায় ঈদ করলেও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য থাকছেন ঢাকায়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের সবাই এলাকার সাধারণ মানুষকে নিয়েই সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকি। মানুষের যেকোনো কষ্ট, দুর্যোগ, দুর্বিপাকে পাশে থেকে সহায়তা করতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে ধর্মীয় যে আনন্দ আছে, সেটা যাতে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারি, সেজন্য যার যার এলাকায় যাই। মানুষের পাশে থেকে ঈদ উদ্যাপন করি।’