শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণের কথা ভাবেন : খাদ্যমন্ত্রী
দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে চাষের বাইরে না থাকে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমিতে সেচ ও সারের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছেন। তিনি সব সময় জনগণের কল্যাণের কথা ভাবেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় পোরশা উপজেলার সরাইগাছি খাদ্য গুদাম চত্বরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাজহোল্ড সাইলো বিতরণ ও সেচ লাইসেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য জোগান দিতে হচ্ছে। উৎপাদন করেই আমরা চাল খাই। আমাদের আরও উৎপাদন বাড়াতে হবে।
একটি দলের নেতারা করোনার টিকা নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। তারা অনেকেই লুকিয়ে টিকা নিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক ওয়ার্ডে গণটিকা দেওয়া হবে। নওগাঁ জেলায় সাড়ে তিন লাখ টিকা দেওয়া হবে।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সবাইকে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কৃষকরা ধানের নায্যমূল্য পাচ্ছেন। তাই কৃষকের ভিত শক্ত হচ্ছে। করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি। কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহীর জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারি, পোরশা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মনজুর মোরশেদ চৌধুরীসহ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের আটটি বিভাগে ২৩ জেলার ৫৫টি উপজেলায় সর্বমোট তিন লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে।
নওগাঁ জেলায় মোট ২৮ হাজার সাইলো বিতরণ করা হবে। তার মধ্যে আজ পোরশা উপজেলায় এ কর্মসূচির আওতায় ছয় হাজার পিস পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হয়। দুর্যোগগকালে প্রতিটি পারিবারিক সাইলাতে ৪০ কেজি ধান অথবা ৫৬ কেজি চাল অথবা ৭০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে।