শেখ হাসিনা সব সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন। নজিরবিহীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিককেন্দ্রর উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর প্রান্তে উপস্থিত থেকে জনতার উদ্দেশে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি জেলায় এবং উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। তিনি সব ধর্মের উন্নয়নে কাজ করেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।’
মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও উন্নয়ন হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ও এসডিজির অগ্রগতি ভালো। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বিভিন্ন অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা ধর্মীয় ও নৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। পিতার দেখানো পথ ধরে তিনি সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।’
নওগাঁ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আল মামুন হক, নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক সুফিয়ান, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজবিভাগ, শিশুশিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও অটিজম সেন্টার, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে।
এ ছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণ-আবাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কার্যালয়ের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং-সুবিধা রাখা হয়েছে। মডেল মসজিদগুলোতে দ্বিনী দাওয়াত কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।