শেরপুরে গরু নিয়ে বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
শেরপুরের মৌসুমি গরু ব্যবসায়ীরা ঈদের জন্য কোরবানির পশু কিনে বিপাকে পড়েছেন। এবার ঈদে বিক্রি হয়নি তাদের গরু। এখন সেই গরু পালনের জন্য তাদের কোনো জায়গা নেই। তাই ১১টি গরু নিয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে।
গরু ব্যবসায়ীরা হলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় এলাকার সমেদ আলী, আলাল উদ্দিন ও মোকসেদ আলী। ঈদে ব্যবসার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোটা অঙ্কে কিনেছেন ১১টি ষাঁড়। লাভের আশায় সেই ষাঁড় নিয়ে ঢাকায় গিয়ে বিক্রি করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ফলে সেই ষাঁড় নিয়ে ফিরে আসতে হয় এলাকায়।
কেনা দামের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা কম দাম হওয়ায় ষাঁড়গুলো বিক্রি করতে না পেরে এখন তাঁরা বিপাকে। মৌসুমি ব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের গরু পালনের কোনো জায়গা নেই। ফলে তাঁরা এলাকায় এসে রাস্তার পাশে ষাঁড়গুলো নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এই ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁদের ষাঁড়গুলো রোদ ও বৃষ্টি মাথায় করে রাস্তায় থাকছে। গরুর খড় ও খাবার দিতেও তাদের সমস্যা হচ্ছে। গরুর ওজন ইতোমধ্যেই কমে গেছে। ফলে গরু নিয়ে চরম বিপাকে তারা।
শুধু এই তিন ব্যবসায়ীই নন, ঈদ উপলক্ষে মৌসুমি গরু ব্যবসায়ীদের অনেকের অবস্থাই এমন। এবার করোনা ও লকডাউনের কারণে তাদের পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।