শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরগরম রামপালের ১০ ইউনিয়ন
শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী মাঠ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। নানা প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের ফুলঝুড়ি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিগত দিনে পাশে থেকেছেন, উন্নয়ন করেছেন এমন প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। এ ছাড়া নতুন প্রার্থীদেরও বেশ কদর রয়েছে।
এ উপজেলায় এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ বাইনতলা ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রেই ইভিএমএ ব্যবহার হবে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণসহ ভোটারদের মধ্যে প্রচারণা চালানো হয়েছে। আজ শনিবার দিনভর ওই এলাকায় ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে।
রামপাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ জাকারিয়া জানান, ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে চেয়ারম্যানসহ সদস্য প্রার্থীর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর রাজনগর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে ভোট হবে সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যদের ক্ষেত্রে।
রামপাল উপজেলার পাঁচটি ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন হুঁড়কা ইউপিতে তপন গোলদার, ভোজপাতিয়া ইউপিতে তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, বাঁশতলী ইউপিতে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, রামপাল সদর ইউপিতে শেখ নাসির উদ্দিন ও মল্লিকেরবেড় ইউপিতে তালুকদার সাবির। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তবে এই পাঁচটি ইউপিতে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপজেলার পাঁচটি ইউপিতে ১৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে লড়ছেন ৩৮৪ জন প্রার্থী। এখানকার ১০টি ইউনিয়নের ৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট।
ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রস্তুতের জন্য আজ সকাল থেকে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
রামপাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ জাকারিয়া বলেন, ‘রোববার সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু হবে। ভোট নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিবেন।’
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কবীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের সর্বমোট ৮১টি কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রকেই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। প্রার্থীদের মধ্যে সাজ সাজ রব রয়েছে। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, তাঁরা দেখবেন ঠিকঠাক নির্বাচন হচ্ছে কি না, কোথাও আইন ভঙ্গ হচ্ছে কি না। পাশাপাশি পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল ও র্যাব থাকবে। সব মিলিয়ে আমরা বলতে পারি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, পরিচ্ছন্ন ভোটের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’