শ্রম আইনের মামলায় লিখিত জবাব দিলেন ড. ইউনূস
শ্রম আইনের মামলায় লিখিত জবাব দাখিল করেছেন গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান। আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার কাছে ড. ইউনূসের পক্ষে এই জবাব দাখিল করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আলম মামুন।
এ বিষয়ে আদালতের সেরেস্তা সহকারী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ জবাব দাখিল হয়েছে। পরবর্তীতে বিচারক একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন এবং ওই দিন মামলার শুনানি হবে।’
এদিকে আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দাবি করে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসানের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করা হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক সাত কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে আলাদা আটটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা গ্রহণ করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।
ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, ‘সাত কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০০৯ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ টেলিকমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ৯ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ২১৩ ধারা মোতাবেক আলাদা আটটি মামলা করেন।’