গাজীপুরের শ্রীপুরে ক্রিকেট খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাকে স্থানীয় যুবলীগের এক কর্মী এবং তাঁর সহযোগীরা পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই নিহত নয়ন শেখের (২৫) মরদেহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী নয়ন একই ইউনিয়নের বেলদিয়ার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, কাওরাইদ গ্রামের যুবলীগ কর্মী খায়রুল ইসলামের ছেলে অনুভব মীর (১৪) বৃহস্পতিবার দুপুরে কে এন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। সেখানে বেলদিয়া গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে বেলদিয়া গ্রামের ওই ছেলে ছাত্রলীগ নেতা নয়ন শেখের কাছে অনুভবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। অভিযোগ শুনে নয়ন অনুভবকে কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ডেকে শাসন করে ছেড়ে দেন। খবর পেয়ে অনুভবের বাবা খায়রুল ওই কার্যালয়ে গিয়ে নয়ন শেখের কাছে তাঁর ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে চান। এ নিয়ে খায়রুলের সঙ্গে নয়নের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নয়ন শেখ চেয়ার দিয়ে খায়রুল ইসলামের মাথায় আঘাত করলে তিনি আহত হন। এ সময় খায়রুল ইসলামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়নকে ধাওয়া করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পেছন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নয়ন শেখকে আটকে ফেলেন তাঁরা। পরে বেধড়ক মারধরে ঘটনাস্থলে নিহত হন নয়ন শেখ।

নিহতের বড় ভাই রতন শেখ জানান, খায়রুল ইসলাম এবং তাঁর লোকজন পরিকল্পিতভাবে নয়ন শেখকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন।

শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইমতিয়াজ মাহফুজ জানান, নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।