সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস
জাতীয় সংসদে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, আইন, ২০২১’ পাস হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এ আইন পাস হয়।
বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান উন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার সব বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার খুলনা জেলায় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আজ সংসদে বিল বিবেচনার জন্য উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় বিলের ওপর জনমত যাচাই এবং বিলটির বিভিন্ন দফায় সংশোধনী প্রস্তাব দেন বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্য। পরে কণ্ঠভোটে সংসদে পাস হয় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিল-২০২১’।
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের ৩৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, দুটি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট; ৭৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ১৩টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ১৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট এবং ৪৬টি সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও ৩১৭টি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়।
বর্তমানে কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। প্রতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার ৩৩৪ জন শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। উচ্চ শিক্ষার চাহিদার তুলনায় এ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল।
সেজন্য চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিকল্পে সরকার চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলায় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’ স্থাপিত হলে খুলনা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হবে।
এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে এক হাজার ২০০ শয্যার একটি হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ওই হাসপাতালের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে বসবাসরত প্রায় দেড় কোটি জনগণকে উন্নত বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রদান সম্ভব হবে।