সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে করোনা টিকার দাম জানতে চাইলেন চুন্নু
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু আবারও সংসদে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর কাছে করোনার টিকার দাম জানতে চেয়েছেন। চুন্নুর দাবি, কারণ এ ভ্যাকসিনের দাম জানার জন্য মানুষের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় কথা বলতে গিয়ে তিনি টিকার দাম জানতে চান।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমি আগে আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমাদের মোট কত হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে এবং প্রতি ভ্যাকসিনে কত টাকা করে খরচ হয়েছে। আপনি গত অধিবেশনে প্রতি পিস ভ্যাকসিনের দাম বলতে পারেননি। আজকে না হয় বলেন।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কারণ, দেশের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে একটা প্রশ্ন আছে। ভ্যাকসিন কত হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং প্রতি ভ্যাকসিন কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা তারা জানতে চান। অন্তত গড় হিসাবটা আপনি আজ বলবেন।’
গত ৫ জুন বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষকে কত কোটি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং এ ভ্যাকসিনগুোলোর মধ্যে কত পরিমাণ নানা সূত্র থেকে পাওয়া গেছে, আর কী পরিমাণ টিকা কেনা হয়েছে, মোট কত টাকার ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে এবং একেকটা ভ্যাকসিন কিনতে গড়ে কত টাকা করে পড়েছে, সেটা নির্দিষ্টভাবে বলতে আমি আপনার মাধ্যমে (স্পিকার) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করছি।’
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনি অনেকগুলো প্রশ্ন করেছেন। সেই প্রশ্নগুলোর একটি লিখিত দিলে আমরা উত্তর দেব। তারপরও এখন আমি যতটুকু বলতে পারি, বলি।’
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছি সাড়ে ২৯ কোটি। তার মধ্যে ২৬ কোটি টিকা আমরা প্রয়োগ করেছি। প্রথম ডোজ হল প্রায় ১৩ কোটি আর দ্বিতীয় ডোজ হল পৌনে ১২ কোটি। আর দেড় কোটি বুস্টার ডোজ।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা কিনেছি প্রায় ১৮ কোটি ডোজ টিকা। আর বাকিটা আমরা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পেয়েছি এবং সেটা বিনামূল্যে পেয়েছি। যে টিকাগুলো কিনেছি, সে দামগুলো এখন মনে নেই। আপনি যদি আমার কাছে একটা নোটিশ দেন, আমি সবগুলোর দাম এবং কোথা থেকে এসেছে, সেগুলো বলতে পারব।’
এর আগেও সংসদের গত কয়েকটি অধিবেশনেও কয়েকজন সংসদ সদস্য করোনা টিকা কেনায় সরকারের ব্যয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রশ্ন করেন। তখন মন্ত্রী জানান, ‘চুক্তির গোপনীয়তার কারণে তিনি দাম বলতে পারবেন না।’