‘সংসদে হামলার পরিকল্পনায়’ গ্রেপ্তার দুই ‘জঙ্গি’
জাতীয় সংসদে হামলার পরিকল্পনা ও উসকানিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মগানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গতকাল বুধবার বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আলী হাসান উসামা (২৭) ও মো. আল সাকিব (২০)। এর মধ্যে উসামাকে একজন ‘উগ্রবাদী বক্তা’ এবং সাকিবকে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। আল সাকিব সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং উসামা রাজবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে মো. আল সাকিবকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানা এলাকা হতে আলী হাসান উসামাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় সাকিবের কাছ থেকে একটি কালো পতাকা, মাথায় বাঁধার জন্য একটি কালো রুমাল, বড় একটি ছোরা, একটি মোবাইল ফোন এবং আলী হাসান উসামার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন, কিছু উগ্রবাদী বার্তা সম্বলিত পুস্তক উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, আল সাকিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উগ্রবাদী বার্তা সম্বলিত কতিপয় বক্তার ভিডিও চিত্র দেখে ৩১৩ জন সদস্য সংগ্রহ করে রমজান মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যর উপরে হামলার পরিকল্পনা করে। এজন্য তিনি কথিত বক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের দেওয়া পরামর্শ মতে, সাকিব সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে হামলার সদস্য সংগ্রহের জন্য একাধিক পোস্ট ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দাওয়াত দেন। পরে পরিকল্পনা মোতাবেক, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নাশকতা সংঘটনের প্রাক্কালে গ্রেপ্তার হন সাকিব।
ডিএমপি বলছে, অপরদিকে আলী হাসান উসামা তথাকথিত জিহাদের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমর্থনে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে এবং তা ইউটিউবে প্রচার করে। তিনি আল সাকিবকে সংসদ ভবনের সামনে হামলার ব্যাপারে ইন্ধন দেন ও উদ্বুদ্ধ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে আজ গ্রেপ্তারকৃতদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।