সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়ে গেল : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করছেন। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস লালন থেকে তারা এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সর্বমোট সাতজন সংসদ সদস্য আছে। তাদের পদত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়—তারা আসলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধ্যগ্রস্ত করতে চায়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংসদে যেখানে সাড়ে তিনশ সংসদ সদস্য সেখানে সাতজন পদত্যাগ করলে কিছু আসে-যায় না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তবে, এতে বিএনপি যে সংসদে কথা বলতে পারত, সেই পথটা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। মির্জা ফখরুল সাহেব এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু তাদের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি শপথ নিতে পারেননি, এতে বরং বিএনপির ক্ষতি হয়েছে। তার মতো একজন বাকপটু নেতা যদি সংসদে থাকতেন, তাহলে বিএনপিরই লাভ হতো।’
বিএনপির গতকালের সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। কারণ, যে মাঠে গরুর হাট বসে, সেটাই তারা পছন্দ করেছে এবং তার আয়তন হচ্ছে ৫০ হাজার বর্গফুট। একজন মানুষ ঠাসাঠাসি করে দাঁড়ালে কমপক্ষে তিন বর্গফুট জায়গা লাগে।’
বিএনপির ১০ দফা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর একদফা দাবি। এখন দেখতে পাচ্ছি ১০ দফা। দাবিগুলো আমি দেখেছি, এগুলো গতানুগতিক, বহুদিন ধরে বলে আসছে, সেখানে মাত্র আর কিছু নতুন দাবি সন্নিবেশ করেছে। অর্থাৎ, বিএনপি সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ পরিহার করতে পারেনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৪ তারিখ গণমিছিল ডাকাও দুরভিসন্ধি মনে হচ্ছে। এদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা দুরভিসন্ধি বলেই আমি মনে করি।’
বিদেশি রাষ্ট্র এবং কূটনীতিকদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের যে রাজনীতি দ্বিধাদ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক মতদ্বৈততা, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা—এগুলো অন্যের কাছে নিয়ে যাওয়া অনুচিত। একইসঙ্গে কূটনীতিকদের অবশ্যই জেনেভা কনভেনশন মেনে চলা উচিত। আর আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই, আমরা সব সময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদেরকে কোনো বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি, কোনো বিদেশি শক্তি এদেশের ক্ষমতার পালাবদলও করতে পারে না। জনগণই এদেশের ক্ষমতার মালিক, আমরা জনগণের শক্তিতে বলীয়ান।’