সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১৬ ফেব্রুয়ারি
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার কাগজপত্র না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর এই মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০), তাঁর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪), শাহিনের ভাই আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৫৯) ও মারুফ রেজা (৫৯)।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর স্বামী সালাম চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন। পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে, ২০১৯ সালের ২৬ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তদন্ত আদেশে এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দেন। একইসঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
পিবিআই আদালতের নির্দেশের পরে ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এরপরে গত বছরের ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।