সগিরা মোর্শেদ হত্যা : সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়ে ৪ এপ্রিল
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে নিহত সগিরা মোর্শেদের বড় ভাই ডা. শামীম আকা নেওয়াজকে জেরার দিন ধার্য ছিল। এদিন তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে, আজ শেষ না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) শামসুদ্দিন জুম্মন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন ও শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। পরে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশাচালক জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরপর ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত এ মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন।
পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তদন্ত আদেশে থাকা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট মামলাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। গত ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।