সন্ত্রাসের পথ বেছে নিলে আ.লীগও বসে থাকবে না : নৌ-প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশ ধ্বংস ও মানুষ পোড়ানোর মতো সন্ত্রাসের পথ বেছে নেওয়া হলে আওয়ামী লীগও ঘরে বসে থাকবে না। যদি আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে অন্য কোনো সরকার আজকে দেশ পরিচালনায় থাকত, তাহলে অনেক আগেই বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যেত। লিবিয়া ও সিরিয়া হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে রক্ষা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জস্থ সেতাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেতাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পাল, সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রহমত উল্লাহ ওয়াজেদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল বিশ্বায়নের এ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে। সামনে কঠিন আগামী অপেক্ষা করছে। সেখানে দেশকে সহায়তা করবে; তা না করে রসিকতা করার চেষ্টা করছে। ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার এত দুর্বল সরকার নয়; আওয়ামী লীগ এত দুর্বল নয়। এর আগে অনেক কিছু করেছেন। জ্বালাও পোড়াও করেছেন, কোরআন শরীফ পুড়িয়েছেন, জায়নামাজ পুড়িয়েছেন, চাঁদে পর্যন্ত মানুষ পাঠাইছেন! কোন কাজ হয়নি। বায়তুল মোকাররম মসজিদে আগুন দিয়েছেন, রামুর বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দিয়েছেন-কোনো কাজ হয়নি। গাড়ি পুড়িয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন-কোনো কাজ হবে না।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র করেছে ইবলিশ। ইবলিশকে সে ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছেন। ইবলিশ আমাদের মধ্যেই আছে। সমগ্র পৃথিবীতে আজকে অস্থিরতা। যারা মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করে-তারা এগুলো করে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুরসহ দেশের যে উন্নয়ন- এটা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশপ্রেম না থাকলে এত ভালো কাজ করা যায় না।
তিনি বলেন, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অনেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে থাকে। অপপ্রচারকারিরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করে থাকে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, মসজিদভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশব্যাপী মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ, শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছে। আজকে সে অবস্থা নেই। ৬৪ জেলায় ও সকল উপজেলায় মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছেন শেখ হাসিনা। তিনি কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন।