সব নির্যাতন সহ্য করেই ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে : রিজভী
এই সরকারের বিরুদ্ধে সব নির্যাতন সহ্য করেই ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর রক্তমাখা হাত এদেশের জনগণের দ্রোহাগ্নির তাপে পুড়ে যাবে। যারা প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখে তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। বহুদিন ধরে চলে আসা এই অবিচার মানুষ আর সহ্য করবে না।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, গত রাতে (সোমবার) গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে পুলিশ ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সজীব রায়হানকে বাসায় না পেয়ে তাঁর তিন ভাই জুয়েল, সোহেল ও সুমনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে গেছে।
রহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একদিকে বিক্ষোভ বানচাল করার জন্য উন্মত্ত পুলিশের বেপরোয়া লাঠিপেটায় রক্তাক্ত করা, অন্যদিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নামক টর্চারিং মেশিনে ঢুকিয়ে ছাত্রদল নেতাদের ওপর নির্যাতন চলছে। ভয়াবহ এ দুর্ভোগ নজিরবিহীন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গত পরশু (২৮ ফেব্রুয়ারি) লেখক মুশতাক আহমেদের সরকারি হেফাজতে মৃত্যু ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের অতর্কিত হামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহসভাপতি মামুন খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, আক্তার হোসেন, ফারুক হোসেন, সানজিদা আক্তার তুলিসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এই বর্বরোচিত আক্রমণের পরেও পুলিশ থেমে নেই। এখন শুরু করেছে মামলা, গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের নামে অকথ্য অত্যাচার।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ছাত্রদলের ১৩ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে গত পরশু দিন সন্ধ্যার পর তিনজন ছাত্রদল নেতা যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য আনিসুর খন্দকার অনিক, এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার জিসান এবং সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের কর্মী আতিক মোর্শেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘসময় অস্বীকার করেছে, শুধুমাত্র তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করার জন্য।’