খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস সম্পর্কে সরকারের বহুমুখী ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে সারা দেশের টিকাদান কেন্দ্রসমূহে টিকা নিতে আসা মানুষরে ভিড় ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব মানুষের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

আজ বুধবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির’ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শোকাবহ আগস্ট স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টিকা নিয়ে হতাশার কোনো কারণ নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত সব সেক্টরের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন।’

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এটা না করলে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে না। শুরুতে একটি মহল টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছিল। এখন তারা অনেকেই টিকা নিচ্ছেন।

টিকা নিয়ে কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজে টিকা নিতে এবং অন্যকে টিকা নিতে উৎসাহিত করে দেশকে করোনামুক্ত করতে সরকারকে সহায়তা দিতে আহ্বান জানান মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হাসপাতাল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা রোগী হিসেবে আসেন তারা যেন সঠিক সেবা পান।’

এটা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িতদের প্রতি আহ্বান এবং সেইসঙ্গে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়মিত হাসপাতাল পরিদর্শনের জন্য বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

এ সময় নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইউব হোসাইন মণ্ডল, মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. নাদিরা বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীরসহ উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।