সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, পাঁচ শিশুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে পাঁচ শিশুকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংরক্ষিত এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। আহত শিশুরা বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত মমতা বেগম রূপা (৪০) উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য এবং পশ্চিম চরবাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম রিপনের স্ত্রী।
জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিন কেরানীর বাড়ি থেকে আহত শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা শিশুরা হলো, ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের পশ্চিম চরবাটা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সাঈদ বিন আশরাফ (১০), সাদ বিন আশরাফ (৫), ফজলে এলাহী রনির মেয়ে লুবাবা খানম জেমি (৭), জহিরুল ইসলামের মেয়ে জেবিন (৯) ও জাহিন (৫)।
এ বিষয়ে ফজলে এলাহী রনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা দশ ভাই, আমাদের কোনো বোন নেই। রূপা আমার মেঝ ভাই রিপনের স্ত্রী। আমার বাবা হজ করার জন্য বাড়ি বিক্রি করে দেন। বিক্রি করার পর আমার বাবা রূপাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রূপা জোর করে বসবাস করে আসছেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। কিছু দিন আগে রূপা দাবি করেন তিনি আমার বাবার কাছ থেকে জমি কিনে নিয়েছেন। এ নিয়ে একাধিকবার ঝগড়া হয়। তিনি বহুদিন ধরে আমাদেরকে গুম, খুন করার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। গতকাল বিকেলে বাড়িতে শিশুরা খেলাধুলা করার সময় মেঝ ভাবি রূপা তাদেরকে কৌশলে চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তার ঘরে ডেকে নেয়। তারপর দরজা বন্ধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে পাঁচ শিশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আহত শিশুদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।’
অভিযুক্ত মমতা বেগম রুপার স্বামী রিপন বলেন, ‘আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি সবাই আহত, রূপাও আহত।’ জায়গা সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।’
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় অভিযুক্ত নারী নিজেও তার ছোরার আঘাতে জখম হন।’