সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গোলাম কুদ্দুছকে পুনরায় সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আট বছর পর অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জোটের এই বড় পরিসরে নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়। এর আগে ছিল ৪৭ সদস্যের নির্বাহী পরিষদ।
কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সারা যাকের, লায়লা হাসান।
সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. মুহাম্মদ সামাদ। সহ-সভাপতি হলেন লিয়াকত আলী লাকী, ঝুনা চৌধুরী, সালাউদ্দিন বাদল, ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, মিলন কান্তি দে, মিনু হক, কামাল পাশা চৌধুরী, মীর বরকত, কুমার বিশ্বজিৎ, মিজানুর রহমান। সহ-সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ গিয়াস। সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ। অর্থ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম। প্রচার সম্পাদক মীর মাসরুর জামান রনি। প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল খোরশেদ জাফর। নির্বাহী সদস্যরা হলেন- তারিক সুজাত, ড. নিগার চৌধুরী, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ফেরদৌস আহমেদ, ফকির সিরাজ, আরিফ রহমান, বুলবুল ইসলাম, অনন্ত হীরা, এম এ আজাদ, মনজুর আলম সিদ্দিকী, শাহনেওয়াজ, ত্রপা মজুমদার, প্রিয়াংকা গোপ, সংগীতা ইমাম, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, আহসান হাবিব নাসিম, নাসিরুল হক খোকন, ড. বিশ্বজিৎ রায়, আক্তার-উজ-জামান কিরণ, ফয়জুল্লাহ সাঈদ, ঝর্ণা আলমগীর, আনিসা জামান চাঁপা, ড. সোলায়মান কবির, আহসান উল্লাহ তমাল, লিলি ইসলাম, রোকেয়া প্রাচী, তানভিন সুইটি, তনিমা হামিদ, মাহবুব রিয়াজ, আবুল ফারাহ পলাশ, মাসুদুজ্জামান, সামসুজ্জামান বাবু, অনন্যা লাবণী পুতুল, রওনক হাসান, নবীন কিশোর গৌতম, হানিফ খান, ওয়ার্দা রিহ্যাব, নাঈম হাসান সুজা, এইচ আর অনিক, আশিকুর রহমান ভুলু, রেজাউল করিম রেজা, রওশন আরা রুশনী, নাজনীন হাসান চুমকি, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, চৈতালী চৈতী, শহীদুল ইসলাম নাজু, তারেক আলী মিলন, শাহীন আহমেদ, অনিকেত রাজেশ, আবিদা রহমান সেতু, ফারজানা মালিক নিম্মি, ফারহিন খান জয়িতা, এনায়েত করিম বাবলু, হৃদি হক, আতিকুর রহমান উজ্জ্বল, এশা ইউসুফ, জি এম মোর্শেদ, নিয়াজ আহমেদ, তৌফিক হাসান ময়না, কাজী মিজানুর রহমান, মীর জাহিদ হাসান, শেখ শাফায়েতুর রহমান, এফ এম শাহীন, কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস, শামিমা তুষ্টি, মনিরুল ইসলাম, শাহ আলম সিকদার জয়, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, এহসানুল আজিজ বাবু, ফয়জুল আলম পাপপু, ঠান্ডু রায়হান, নাজমুল হাসান পাখি (চট্টগ্রাম বিভাগ), বিপ্লব প্রসাদ (রংপুর বিভাগ), সুকুমার দাস (খুলনা বিভাগ), আমিনুর রহমান ফরিদ (ঢাকা বিভাগ), কামরুল আলম সেলিম (সিলেট বিভাগ), আজমল হোসেন লাবু (বরিশাল বিভাগ), দিলীপ কুমার ঘোষ (রাজশাহী বিভাগ), গোলাম মোস্তফা (যুক্তরাজ্য), আহমেদ হোসেন (কানাডা), মাহতাব সোহেল (যুক্তরাষ্ট্র), শামসুল হুদা চৌধুরী সেলিম (কানাডা), মিথুন আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র)।
ফের সভাপতি হওয়ার পর গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলায় যারা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখবে জোট। পাশাপাশি সংস্কৃতিকর্মী এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ে সরব থাকবে।’
শুক্রবার সকালে জাতীয় নাট্যশালায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশিদ, মফিদুল হক, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সারা যাকের, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ। মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। শেষ পর্বে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ বলেন, ‘দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরি করতে হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সারা দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে আমরা জাতীয় সংস্কৃতি সমাবেশ করব। এর মধ্যে দিয়ে আমরা সমাজে সম্প্রীতির বার্তা পৌছে দেব। এছাড়া বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।’