সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি করার নির্দেশ
নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যে সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজগুলো সরাসরি না করে ভার্চুয়ালি করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে আজ রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে—‘করোনাভারাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)- এর সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে আরোপিত বিধি-নিষেধে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হিসেবে সকল জরুরি অফিস ও সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। এক্ষণে সকল সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পদক্ষেপ নিতে সব সিনিয়র সচিব ও সচিবদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সব বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, সব জেলা প্রশাসক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব এবং সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শুরু থেকে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
গত ২৪ জুন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে। এ অবস্থায় সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ জারির সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি।
জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করছে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।