সরকারি অফিসে প্রায় চার লাখ পদ শূন্য
বর্তমানে দেশের সব মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর ও সরকারি অফিসে তিন লাখ ৯২ হাজার ১১৭টি পদ শূন্য রয়েছে। কোনো কোনো পদের ক্ষেত্রে আদালতে মামলা চলছে। ফলে, নিয়োগবিধির কাজ শেষ হচ্ছে না। আবার পদোন্নতির জন্য পাওয়া যাচ্ছে না যোগ্যপ্রার্থী। এসব কারণে এসব শূন্য পদ যথাযথ সময়ে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বেনজির আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী সম্পদের হিসাব দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়টি আচরণ বিধিমালায় আগে থেকেই সংযোজিত রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-এর আলোকে প্রস্তাবিত খসড়া সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-২০২২ প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য চলতি বছরের ১ মার্চ সারসংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়া আচরণ বিধিমালায় তা যুগোপযোগী করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।’
ফরহাদ হোসেন জানান, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নতুন পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রম চলমান। শিগগির পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ করা হবে। সিনিয়র স্কেলসহ সব গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) রয়েছে এবং সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবপদে পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ রয়েছে, যার আলোকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।
বেনজির আহমেদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন জানান, বর্তমানে দেশে সব মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর ও সরকারি অফিসে পদ শূন্যের সংখ্যা তিন লাখ ৯২ হাজার ১১৭। কিন্তু, আদালতে মামলা থাকায়, নিয়োগবিধির কাজ শেষ না হওয়ায় এবং পদোন্নতি যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্যপদ যথাযথ সময়ে পূরণ করা যায় না।