সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু ১৫ ডিসেম্বর
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাউশির ওয়েবসাইটে (www.dshe.gov.bd) ভর্তির বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।
শুধু অনলাইনে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেলিটকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চার শতাধিক সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি বিদ্যালয় আছে। এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি ও সি) করে ভর্তি করা হবে।
আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দ দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৫ নভেম্বর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার ফলে মেধাবীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা সর্বাধিক পাঁচটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক ভর্তির কোটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে ৪০ শতাংশ থাকলেও এবার থেকে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও সাম্য ফিরে আসবে। সবখানেই মেধাবীরা থাকবে।
গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাধ্যমিকের ক্লাস হওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর ঘোষণা দেওয়া হয়, এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হচ্ছে না। এরপর মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষাও না নেওয়ার ঘোষণা আসে। পরীক্ষা ছাড়াই সব শিক্ষার্থী ওপরের ক্লাসে উঠবে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে স্কুলপর্যায়ে টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে ক্লাস প্রচার হচ্ছে।