সরকারের দায়িত্ব বিজনেসম্যানদের জন্য পথ তৈরি করা : নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাবে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব বিজনেসম্যানদের জন্য পথ তৈরি করা।’
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীতে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কীভাবে রিজিওনাল শিপিং হাবে পরিণত হবে’ বিষয়ে গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা এই বৈঠকের আয়োজন করে।
দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সম্পাদক ইনাম আহমেদের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার, সিকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ খান মাহমুদ তিতুমীর, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, সিসিসিআইয়ের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাস এবং সিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কবিরুল আলম সুজন মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের ‘মাল্টিপারপাস টার্মিনাল’ চট্টগ্রাম বন্দর নিজেরা পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে সরকার দেশের স্বার্থ বিবেচনায় রেখেছে। বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে সরকার অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের করাপটেড অর্থনীতি ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসে যাবে, চিন্তা করা যায় না। গত ১৪ বছরে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন বিষয়ে সরকার নজরদারি রাখছে। ডে বাই ডে সেগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে।’
‘যন্ত্রপাতি ও ইয়ার্ডের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব বিজনেসম্যানদের জন্য পথ তৈরি করা। বিজনেসম্যানরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে ঝুঁকি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারিরা মেরিটাইম সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন চট্টগ্রাম বন্দর প্রাতিষ্ঠানিক বন্দর হিসেবে ১৩৪ বছর অতিক্রম করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর মাস্টারপ্লান নিয়ে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। অনেক সমস্যার কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো একদিনের সমস্যা না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী, সেটি বড় বিষয়। কাস্টমসের জবাবদিহিতা নেই; একথাটি ঠিক নয়। ডে বাই ডে আপগ্রেড করছি। সবকিছু অটোমেশন ও ডিজিটাল করা হচ্ছে।’