সরকার অদ্ভুত প্রক্রিয়ায় সাড়ে ১২ বছর ক্ষমতায় রয়েছে : রিজভী
এই সরকার অদ্ভুত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণকে পাত্তা না দিয়ে সাড়ে ১২ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘কিম্ভূতকিমাকার নির্বাচন কমিশন গঠন করে রাতের অন্ধকারে এ সরকার নির্বাচন করে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং তাদের পদত্যাগের জন্য তারা কথা বলেছে। এর মধ্যে বোঝা যায় যে, দেশে গণতন্ত্র শেষ করার জন্য গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোও ধ্বংস করেছে।’
আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বেবুর পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘এটি একটি জালিয়াতির পদ্ধতি। যে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় না, সে যদি কোনো যন্ত্র বা মেশিন বসায় সেখানে যে আন্তরিকতা থাকবে, সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।’
ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব চলছে। মনের পীড়া নিবৃত্ত করার জন্য তিনি বিএনপির ওপর অভিযোগ দিচ্ছেন। ১৯৭২/১৯৭৫-এ ক্ষমতায় থাকাকালীন সিরাজ শিকদার কি রাজাকার ছিলেন না মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? আপনারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ শিকদারকে হত্যা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরুই করেছে এই আওয়ামী লীগ। এখন তারাই বড় বড় কথা বলে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব জেলে ছিলেন এবং তাঁর নেত্রীর বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন যে কত টাকা চাঁদা নিয়েছেন না নিয়েছেন। অর্থাৎ মাইনাস টু ফর্মুলায় বিএনপির মধ্যে কিছু লোক, আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু লোক তারা এই কাজটি করেছেন ওয়ান ইলেভেনের পরে। মাইনাস টু-এর যে তথ্য এটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য। সেখান থেকে যেটা শোনা যায় ওবায়দুল কাদের সাহেবও বিচ্যুত ছিলেন না। তাঁর স্টেটমেন্ট মানে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন গোয়েন্দাদের কাছে, সেটা অলরেডি প্রকাশিত হয়েছে। এজন্য তাঁর একটা যে মনের পীড়া। সেই মনের পীড়া মেটানোর জন্য তিনি বিএনপির ওপর অভিযোগ দিচ্ছেন।’
এ সময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক এসএম আশরাফুল হক রুবেলসহ পৌর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে কুড়িগ্রাম পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।