সরকার গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমাতে চায় : মির্জা ফখরুল
সরকার পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল। ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গুলি করে হত্যা করে সরকার তা প্রমাণ করেছে। বিএনপি এতে ভীত নয়। শোককে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলন গতিশীল করে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।’
আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আয়োজিত গায়েবানা জানাজায় অংশ নেওয়ার আগে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী পুলিশের গুলিতে আমার দলের গণতন্ত্রকামী ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে। ভোলায় বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি বর্ষণ করেছে। গুলি করে স্বেচ্ছসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু আব্দুর রহিম নয়, আমাদের দলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সহ-শতাধিক নেতাকর্মীকে গুলিবর্ষণ করে আহত করা হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এ ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকারের পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে তারা জানান দিয়েছে—পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে গুলিবর্ষণ করে তারা আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু, ভোলায় দলের নেতাকর্মীদের রক্তের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হয়েছে—এ দেশের মানুষ কখনও ফ্যাসিবাদি সরকার, আওয়ামী সরকারকে ভয় করবে না। তারা দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবার জন্য, তাদের জীবন দিয়ে হলেও রক্ত দিয়ে হলেও সে চেষ্টা করবে। আমরা সে রক্ত বৃথা দিতে পারি না। তাই, এ শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। তাঁর এ রক্ত দেওয়া ও আত্মত্যাগকে ধারণ করে সামনের দিকে আরও গতিশীল বেগমান হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত হতে হবে।’
এ সময় মির্জা ফখরুল নিহত আব্দুর রহিমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন দলের নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করেন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন।