সরকার জনগণের ওপর জুলুমের স্টিম রোলার চালাচ্ছে : এবি পার্টি
বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের ওপর জুলুমের স্টিম রোলার চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে (বিজয়-৭১ চত্বরে) এক বিক্ষোভ সমাবেশে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় বসলে দুটি জিনিষ উপহার দেয়—একটি হলো একদলীয় শাসন, আর দ্বিতীয়টি হলো দুর্ভিক্ষ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর ব্যপারে সরকারের কোনো দ্বিধা-সংকোচ নেই। যখন যা খুশি, তারা তা-ই করে যাচ্ছে। অল্প কদিনের মধ্যে তারা তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।’
মন্জু আরও বলেন, ‘পবিত্র রমজান আসার আগেই চিনি, তেলসহ সব ধরনের খাবারের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের সব নিয়ন্ত্রণ বিরোধী দলের ওপর।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গরিব মানুষের অভিশাপে হাসিনা সরকারের করুণ পরিণতি ইতিহাসে লেখা থাকবে।’
পবিত্র রমজানের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, জ্যেষ্ঠ সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের মানুষ নীরব দুর্ভিক্ষে দিনাতিপাত করলেও প্রধানমন্ত্রীর সুখ সম্ভোগের শেষ নেই। তিনি কত পদের খাবার খাচ্ছেন, তা হলো আমাদের টেলিভিশনগুলোর হেড লাইন। তিনি কত দামের রং বাহারি শাড়ি পরেন, তা হলো সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনা। ইতিহাসে যাদের করুণ পতন হয়েছে, তাদের অতীতও একইরকম ছিল।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রমজানের আগে বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্য আবার বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের ওপর জুলুমের স্টিম রোলার চালু করেছে, এর প্রতিদান তারা অবশ্যই ভোগ করবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, যুব পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইলিয়াস আলী, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন শরীফ, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, সাইফুল মির্জা, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ, ছাত্র বিভাগের সমন্বয়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, যুব পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, জেসমিন আক্তার মুক্তা, ফেরদৌসী আক্তার অপি, উত্তরের সংগঠক সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, রুনা হোসাইন, নজরুল ইসলাম পল্টন থানা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য রনি মোল্লা, ছাত্রনেতা আশরাফুল আলম নির্ঝর, ফজলে এলাহী, তুবা মেহজাবিন, হাসিবুর রহমান, রাকায়েত তুর্যসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর, যুব ও ছাত্র বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।