সরকার বিদায়ের আগে মানুষের ওপর অত্যাচার করছে : গয়েশ্বর
পঞ্চগড়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপিনেতাকে হত্যা করে, তাঁর মৃত্যুকে হৃদরোগে মারা যাওয়ার কথা বলছে তাঁরা (সরকার)। বিএনপিনেতাকে হত্যার দায় নেওয়ার সৎসাহস সরকারের নেই। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চলছে আব্দুর রশিদ তার নেতৃত্ব দিয়েছে। আব্দুর রশিদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রদীপ নেভার আগে যেমন জ্বলে ওঠে—সরকারও তেমনি বিদায়ের আগে মানুষের ওপর অত্যাচার করছে।’
আজ বুধবার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নে নিহত বিএনপিনেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে এসে গয়েশ্বর এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী অমানবিকভাবে বলেছেন, আব্দুর রশিদ আরেফিন নাকি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অথচ এখানকার মাটি বলছে তাঁকে (আব্দুর রশিদ) পুলিশের লাঠিচার্জ—এক কথায় সাপ পেটানোর মতো করে মারা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রীর এ ধরনের মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এসব মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ঠিক না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চলছে আব্দুর রশিদ তার নেতৃত্ব দিয়েছে। আব্দুর রশিদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রদীপ নেভার আগে যেমন জ্বলে ওঠে—সরকারও তেমনি বিদায়ের আগে মানুষের ওপর অত্যাচার করছে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘যে ডিসেম্বর মাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখার জন্য যুদ্ধ হয়েছিল একাত্তর সালে। সেই বিজয়ের মাসেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গিয়ে বিএনপিনেতা আরেফিন জীবন দিলেন। লাখো শহীদের বিনিময়ে আমরা যে দেশ স্বাধীন করেছি; আজকে সেই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গুম, খুন এবং একের পর এক জীবন বলি হচ্ছে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সামনে কোনো শক্তি অতীতে টেকেনি, সফল হয়নি। এই সরকারও যাবে, যেতে হবে, থাকার কোনো সুযোগ নাই। আমি মনে করি, নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে সরকারের যাবার পথ তত স্বল্প হবে।’
এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিহত বিএনপিনেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের পরিবারের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পরে বোদা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে নিহত আরেফিনের স্মরণে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পরে নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।