সরষের মধ্যেই ভূত কি না বের করতে হবে : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কেন পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগছে, কী কারণে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরষের মধ্যে ভূত আছে কি না সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে আঘাত মানেই সারা দেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত। পদ্মা সেতু গোটা জাতির সম্পদ। জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হচ্ছে। অনুভূতিতে আঘাত লাগছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে ওবায়দুল কাদের মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় সেতুর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস ও সক্ষমতার সোনালি ফসল। এ সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনও পেছনে লোক লেগে আছে। দেশে ও বিদেশেও লেগে আছে। এখানে বিআইডব্লিউটিসির এবং সেতু বিভাগের লোকজনও আছেন। সেনাবাহিনীর যারা তারা প্রথম থেকেই আছেন। কাজেই সরষের মধ্যে ভূত আছে কি না সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
এ সময় পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। মূল সেতুর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। তাছাড়া সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।’
‘এর আগে পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগেছে। আজকেও ১০ নম্বর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগে। এটা কী কোনো তুচ্ছ ঘটনা, নাকি নিছক কোনো দুর্ঘটনা, নাকি চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া। এটা আমার মনে হয় ভুল হবে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
এখানে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা তদন্ত করে দেখার কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়টি নিয়ে মিটিং হবে। ওই মিটিংয়ে এ বিষয় নিয়ে আমরা তুলে ধরব। বার বার কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন প্রমুখ।
এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।