সাঁথিয়া কলেজ মাঠে গরুর হাট বন্ধ করলেন ইউএনও
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাবনার সাঁথিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানো বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস এম জামাল আহমেদ।
আজ বুধবার কলেজ মাঠের চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে দেওয়া হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানো বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জানান, গত গত সোমবার সাঁথিয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে গরুর হাট লাগানোর জন্য কিছু লোক বাঁশ, খুঁটি গাঁড়ে। গরুর হাট বসালে কলেজের অ্যাসাইনমেন্টের কার্যক্রম ও অনলাইন পাঠদান কাজে চরম প্রতিন্ধকতা সৃষ্টি ও প্রাঙ্গণ নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হবে। আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত আভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া সরকারি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর গরুর হাট বসানো বন্ধ করে দিয়েছি। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরুর হাট বসাতে দেওয়া হবে না। আমি বিষয়টি জানার পরপরই হাটের ইজাদারকে ডেকে এনে গরুর হাট বসাতে নিষেধ করে দিয়েছি। এর পরেও বসানোর চেষ্টা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে হাটের ইজারাদার আলমগীর হোসেন জানান, কলেজ মাঠে পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ জন্য বাঁশ, খুঁটি গাঁড়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি। ইউএনও সাহেব নিষেধ করে দেওয়ায় তিনি আর কলেজ মাঠে গরুর হাট বসাবেন না বলে জানান।
উল্লেখ্য, কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানোর প্রস্তুতির ছবি ‘প্রদীপ্ত সাঁথিয়া’ এবং ‘শিক্ষা ও শিক্ষকসমাজ’ নামের ফেসবুকের পেজে পোস্ট হওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো সমালোচনার ঝড় ওঠে। সচেতন ব্যক্তিরা এ হীন কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানো বন্ধের জোর দাবি জানান।